মাস কয়েক আগে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা সরিয়ে আনার সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। প্রায় ২০ বছর সে দেশে থাকার পর একে একে সরিয়ে আনা হচ্ছে আমেরিকার বাহিনীকে। আর সেই ঘোষণার পর থেকেই নতুন উদ্যমে একের পর এক শহরে দখলদারি শুরু হয়েছে তালিবানের। তালিবানি চোখ রাঙানিতে জেরবার সে দেশের বাসিন্দারা। শিশু, মহিলাদের ওপর চলছে নির্মম অত্যাচার। শহরে শহরে জয়ের আনন্দে গাড়ি ছোটাচ্ছে, গুলি চালাচ্ছে সন্ত্রাসবাদীরা। এই অবস্থাতেও সেনা সরানোর সিদ্ধান্তে অনড় থাকলেন জো বাইডেন।
সেই সংখ্যা বাড়িয়ে করা হচ্ছে ৫ হাজার। আমেরিকার সব নাগরিক, যাঁরা আফগানিস্তানে রয়েছেন, তাঁদের ফিরিয়ে আনাই বাইডেনের মূল লক্ষ্য। আর আমেরিকার সেই উদ্যোগে যদি তালিবান কোনও বাধা দেয়, তাহলে ফল ভালো হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেছেন, মার্কিন সেনাকে ওই মিশনে যদি বাধা পেতে হয়, তাহলে কড়া জবাব দেবে আমেরিকা। তালিবান কাবুলের আরও কাছাকাছি এগোতেই সৈন্য সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাইডেন।
মার্কিন সচিব অ্যান্টনি ব্লিনকেনের সঙ্গে শনিবার ফোনে কথা হয়েছে আফগান প্রেসিডেন্ট আসরাফ ঘানির। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কী ভাবে আনা যায়, তা নিয়েই আলোচনা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
এ দিকে, রাতারাতি আফগানিস্তানের পূর্বের শহর জালালাবাদের দখল নিয়েছে তালিবান। মাজার-ই-শরিফ দখল করার সাথে সাথেই জালালাবাদ চলে গিয়েছে তালিবানের দখলে। এই মুহূর্তে আফগান সরকারের হাতে পড়ে রয়েছে শুধুমাত্র কাবুল। কাবুল থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরেই অপেক্ষা করছে তালিবান। রাজধানী যেন তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়, এমনটাই দাবি সন্ত্রাসবাদীদের। জানা গিয়েছে, খুব কম সময়ের মধ্যেই মাজার-ই-শরিফ দখল করেছে তালিবান।