ডাক্তারের অভাবে ধুঁকছে জয়দেব কেন্দ্রীয় প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র।
বীরভূম জেলা ইলামবাজার ব্লকের জয়দেব কেন গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত জয়দেব কেন্দুলী প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের দৈন্যদশা দেখলে চোখে অশ্রু আসে। তৎকালীন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধার্থ শংকর রায়ের আমলে এই প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র নির্মিত হয়েছিল।
এলাকার মানুষের কথা ভেবে ফু চিকিৎসার জন্য এই প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছিল। বর্তমানে অজয় নদীর বহু জল গড়িয়ে গেছে। প্রথমত দুটো ডাক্তার নাচ বেড থাকলেও পরে আস্তে আস্তে একটা ডাক্তার নার্স ডেট কমিয়ে দেওয়া হয়। বর্তমানে নার্স ডাক্তার কিছুই নেই। একজন ফার্মাসিস্ট একজন গ্রুপ ডি স্টাফ রয়েছে। হসপিটালে বড় বড় অক্ষরে লেখা রয়েছে সোম বুধ ও শুক্রবার ডাক্তার বসবেন।
তাহলে এলাকার লোকরা বাকি দিন কোথায় দেখাবেন? প্রশ্ন করছে সাধারণ মানুষসহ এলাকাবাসী। তাহলে কি একজন ফার্মাসিস্ট ডাক্তারের কাজ করতে পারবেন? শুধু বীরভূম নয় পশ্চিমবঙ্গ বর্ধমানের কিছুটা অংশ জয়দেব প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের উপর নির্ভর করে। তাহলে এত বিল্ডিং ইনফ্রাস্ট্রাকচার থাকার সত্ত্বেও কেনই অবহেলা? প্রিন্ট মিডিয়া ইলেকট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমে শত শত বার খবর করেও কোনো টনক নরে নি হসপিটাল কর্তৃপক্ষে। সংবাদ সূত্রে প্রকাশ জয়দেব মেলার সময় কবি জয়দেব ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট নামে এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার হাত ধরে দুর্গাপুর আইকিউ সিটি হসপিটাল পুরো জয়দেব মেলায় স্বাস্থ্য ব্যবস্থা পরিচালনা করেছেন।
জয়দেব কেন্দুলি থেকে মোহাম্মদ ফিরোজের রিপোর্ট পি সি নিউজ বাংলা।