টোকিও অলিম্পিক অভিযান শেষে আজ দেশে ফিরল ভারতীয় কনটিনজেন্ট। সোনাজয়ী নীরজ চোপড়া, রুপোজয়ী রবি দাহিয়া, ব্রোঞ্জজয়ী লাভলিনা বরগোঁহাই, বজরং পুনিয়া, ভারতীয় হকি দল-সহ অনেককেই থেকে যেতে হয়েছিল সমাপ্তি অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার জন্য। আজ বিকেলে পদকজয়ী-সহ অ্যাথলিট, কোচ, সাপোর্ট স্টাফ ও আধিকারিকরা দিল্লিতে এসে পৌঁছেছেন।
সেখান থেকে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে অশোকা হোটেলে। এখানে আজই অলিম্পিকে পদকজয়ী ও অন্যান্য অ্যাথলিটদের সংবর্ধিত করা হবে। এই হোটেলে আসবেন পিভি সিন্ধু, মীরাবাঈ চানুও, যাঁরা আগেই দেশে ফিরে এসেছেন। নীরজ, বরজং, রবিদের স্বাগত জানাতে কয়েক হাজার মানুষ উপস্থিত ছিলেন দিল্লি বিমানবন্দরে। জ্যাভলিনে সোনা জিতে ইতিহাস গড়া নীরজ চোপড়াকে চোখের দেখা দেখার জন্য বিমানবন্দরে অপেক্ষমান জনতার আগ্রহ ছিল সবচেয়ে বেশি।
প্রচণ্ড ভিড় ঠেলে এগোনোর ফাঁকেই নীরজ বলেন, দেশে ফিরে ভালো লাগছে। এমনটা যে হবে তা প্রত্যাশাও করেছিলাম। বিমানবন্দরে হাজির ছিলেন নীরজের বাবা-মা ও পরিবারের সদস্যরা। পানিপথ থেকে তাঁরা সকালেই বিমানবন্দরে পৌঁছে গিয়েছিলেন। যদিও প্রচণ্ড ভিড়ের মধ্যে ছেলের সঙ্গে ভালো করে কথা হয়নি তাঁদের। বাড়ি ফিরে ধীরেসুস্থে বাবা-মায়ের সঙ্গে অলিম্পিকে সোনা জেতার অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিতে চান নীরজ।
টোকিও অলিম্পিকে পদকজয়ীদের সঙ্গে অন্যান্য ভারতীয় অ্যাথলিটদের স্বাগত জানাতে উত্সবের মেজাজ ছিল দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। সবচেয়ে বেশি সংখ্যক প্রতিযোগী পাঠিয়ে এবারের অলিম্পিকেই সর্বাধিক সাতটি পদক জিতেছে ভারত। সোনা এসেছে ২০০৮ সালের পর। বিমানবন্দরে অলিম্পিক ফেরত অ্যাথলিটরা যে উষ্ণ অভ্যর্থনা পেলেন তাতে অভিভূত রেস ওয়াকার সন্দীপ কুমার। বলেছেন, আমাদের অ্যাথলিটরা বিশ্বকে এই বার্তা দিতে পেরেছেন যে আমরা প্যারিস অলিম্পিকে আরও ভালো কিছু করতে পারি। আমার ভাই নীরজ যেভাবে জ্যাভলিনে ভালো পারফর্ম করেছে তাতে গোটা বিশ্ব আমাদের অভিনন্দন জানাচ্ছে। অ্যাথলিটদের নিয়ে এমন উত্সাহ-উদ্দীপনার এই প্রথম সাক্ষী থাকলাম। এভাবে সকলে উত্সাহিত করলে অদূর ভবিষ্যতেই ভারত বিশ্বের অন্যতম স্পোর্টিং নেশন হয়ে উঠতে পারে।
টোকিও অলিম্পিকে ভারতীয় হকিরও পুনরুজ্জীবন ঘটেছে। পুরুষ হকি দল ৪১ বছর পর পদক জিতেছে, মেয়েরা অল্পের জন্য পদক ফস্কালেও দুই দলই যেভাবে পারফর্ম করেছে তাতে খুশি দেশের হকি মহল।