ফোন হ্যাক করা এ আর নতুন কি, তাই না। আজকাল এই বিষয় টা যেন জল-ভাত হয়ে গেছে। যে কেউ করতে পারে। এই ঘটনায় অভিযুক্তরা গ্রেফতারও হচ্ছে তবুও যে যার কাজ করে যাচ্ছে। তবে সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর বিষয় হল পেগাসাস স্পাইওয়্যার। ইজরায়েলি সংস্থা এনএসও গ্রুপ তৈরি করেছে এই সফটওয়্যার। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই সফটওয়্যার বিক্রির লাইসেন্স রয়েছে। এই সফটওয়্যার iOS এবং Android ভার্সনে উপলব্ধ। এই অ্যাপ ২০১৬ সালে প্রথম ভার্সন টা আবিষ্কার করে। গোটা বিশ্বের কয়েক বিলিয়ন ফোন ব্যবহারকারী মানুষ এর আওতায় আসতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন গবেষকরা।
এই সফটওয়ার টি শক্তিশালী স্পাইওয়্যার। এর সাহায্যে যে কোনো ফোনে ২৪ ঘন্টা নজরদারি চালানো যায়। ফোনের ম্যাসেজ, ফোনের ছবি অজান্তেই এই অ্যাপ এইসব তথ্য পাচার করে। এমনকি ফোনের রেকর্ডার ও ক্যামেরার সাহায্যে অজান্তেই এই অ্যাপ রেকর্ড করে। ফোনের লোকেশন ট্রাক করার ক্ষমতা রাখে। এর ফলে ফোন ব্যবহারকারী কোথায় যাচ্ছে সে খবর রাখছে ঐই অ্যাপ। এক কথায় বলা যেতে পারে এই অ্যাপ ব্যক্তিগত তথ্য পাচার করে।
যে পদ্ধতিতে ফোন হ্যাক করা হয় তাকে স্পিয়ার ফিশিং বলে। এই পদ্ধতিতে কোনো ব্যক্তির ফোনে ম্যাসেজের সাথে লিঙ্ক পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এই লিঙ্কে ক্লিক করলে ব্যক্তির যাবতীয় তথ্য পেগাসাসের দখলে আসত। এখন আরো বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠেছে এই সফটওয়ার। এখন আর ম্যসেজ পাঠানোর দরকর হয়না। কোনো অনুমতি ছাড়ায় ব্যক্তির ফোনে নজরদারি চালাতে পারে এই পেগাসাস স্পাইওয়্যার। এই পদ্ধতিকে বলা হয় জিরো ক্লিক।
২০১৯ সালে WhatsApp প্রকাশ করেছিল এই সফটওয়্যার। Whatsapp ১৪০ জনের বেশি মানুষের ফোন নিজের আয়ত্তে এনেছিল নির্দিষ্ট ব্যক্তির অনুমতি ছাড়াই। WhatsApp কলের মাধ্যমে এই অ্যাপ নির্দিষ্ট ব্যক্তির ফোনে ইনস্টল করানো হত। এখনও এর কিছু সমাধান বের করা সম্ভব হয়নি। তবে Apple কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে খুব তাড়াতাড়ি কিছু একটা সমাধান সূত্র বের করা হবে।