বৃহস্পতিবার শূন্যপদ পূরণ, সকলের জন্য খাদ্য, শিক্ষা-সহ একাধিক দাবিতে বৃহস্পতিবার বামপন্থী ছাত্র ও যুব সংগঠনের নবান্ন অভিযানের শুরুতেই ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়।
জনস্বার্থে প্রচারিত
পুলিশের কড়া নজরদারি এড়িয়ে আচমকা এক্কেবারে নবান্নের সামনে চলে আসেন সিপিএম বিধায়ক তথা বাম ছাত্র নেতা ইব্রাহিম আলী। সঙ্গে ছিলেন আরো কয়েকজন, তারা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করলে পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে তৎপর হয়ে তাদের আটকায়। ইব্রাহিম সহ 5 জনকে টেনেহিঁচড়ে পুলিশের ভ্যানে তোলা হয়, তখনো উঁচু গলায় স্লোগান দিয়েছিলেন তারা।
এরপর বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই অশান্তি বাড়তে থাকে, বিভিন্ন দিক থেকে নবান্ন মুখে মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে ধর্মতলা চত্বর, প্রায় 4 হাজার সদস্য নবান্ন দিকে এগোতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। ব্যারিকেড ভেঙে এগোতে চান বাম ছাত্র যুবরা। প্রথমে জলকামান, তারপর টিয়ার গ্যাস ছুড়ে তাদের রক্ষার চেষ্টা করে পুলিশ।
কিন্তু তাতেও আন্দোলনকারীরা থেমে যায়নি, এরপর পুলিশ নির্বিচারে লাঠিচার্জ করলে অনেকেই আহত হন, অসুস্থ হয়ে পড়েন কেউ কেউ, গুরুতর জখম দের উদ্ধার করে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশের এই নির্মম আচরণের প্রতিবাদে বামেদের তরফের শুক্রবার সকাল ছয়টা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত 12 ঘন্টা বনধের ডাক দেয় বামেরা।
আর এই ঘটনার প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছেন, এস এস হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির কার্যকরী সদস্য প্রতাপ চুনারী।
প্রতাপ বাবু বলেন, পুলিশ মেরে ফাটিয়ে দিচ্ছে, চাকরি চাইতে মিছিল করা যাবে না, কোন কিছু নিয়েই প্রতিবাদ করা যাবে না, কিছু নিয়ে কথা বললেই নয় বামপন্থী নয় ডানপন্থী ? কেন সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে কথা বলা যায়না! রাজনৈতিক অনুমোদন ছাড়া কি কেউ কোন প্রতিবাদ করতে পারবে না। সরকারের এই নির্মম অত্যাচারের ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না।
এখানে মানুষের অধিকার লংঘন করা হয়েছে, এই মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে মানবাধিকার কমিটি বসে থাকবে না, রীতিমতো ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। সাধারণ মানুষ যে কোন বিষয়ে সরকারের শরণাপন্ন হতে পারে, আন্দোলনে নামতে পারে, কিন্তু এই ভাবে নির্মমভাবে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে দেওয়া এটা একটা ধিক্কারজনক ঘেন্না জনক ঘটনা, পুলিশের প্রতি একরাশ ঘৃণা রইল।