সত্যিই খুবই রহস্যময় আমাদের এই সমাজ!
আমার জানামতে সমাজ ও রাজনীতি আলাদা কোনো বিষয় নয়। সমাজকে সুন্দর ও সুনিয়ন্ত্রিত নিয়মের মধ্যে পরিচালনা করার জন্য সর্বোচ্চ অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে রাজনীতি।
আমি ভারতবর্ষের একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে যতটুকু জানি, তা হচ্ছে দেশে স্থায়ী এবং অস্থায়ী ভাবে বসবাসরত সমস্ত মানুষের সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্ব এবং সমস্ত মানুষের সুন্দর ভাবে বেঁচে থাকার ও সর্বপ্রকার চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে বিশেষ একটা নিয়ম থাকা দরকার।
সৃষ্টিগত দিক থেকেই প্রত্যেকটা মানুষের বিশ্বাস, চাহিদা, রুচি, চালচলন প্রভৃতি ভিন্ন ধরনের, নানান প্রকৃতির মানুষ নিয়ে আমাদের ভারতবর্ষ বিশাল একটা মিলনের কেন্দ্রভূমি। ভিন্নতার মধ্যে ঐক্যই সামজে স্থাপন করতে পারে স্বর্গের মত একটা বিশাল সংরক্ষিত আবাসভূমি কিন্তু বর্তমান বিশ্ব ব্যবস্থা ও ভারতীয় সাংসদীয় নিয়ম-কানুন ব্যর্থ হতে চলেছে সমাজ জীবনে শান্তি শৃঙ্খলা স্থাপন করতে।
জনস্বার্থে প্রচারিত
সাধারণ মানুষ থেকে নিয়ে চরম প্রভাবশালী ব্যক্তিও নিজের নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন! মানুষ খেলাধুলায় নিমগ্ন থাকে শরীর ও মনকে পরিশুদ্ধ রাখার জন্য, বিভিন্ন ধরনের শরীর চর্চার মাধ্যমে শরীর ও মন পরিপুষ্ট হয়। ছোটবেলা থেকে শুনে আসছিলাম
‘ রাজনৈতিক লড়াই ‘ এর মতো ভয়ঙ্কর শব্দ! রাজনৈতিক লড়াই মানে প্রতিপক্ষকে যেনতেন ভাবে পরাজিত করে ক্ষমতা কুক্ষিগত করা নয়, অথচ সেটাই দেখা যায় দুনিয়াজুড়ে! প্রকৃত অর্থে রাজনৈতিক লড়াই মানে নাগরিকগণ তুলনামূলক যোগ্য ব্যক্তির হাতে ক্ষমতা অর্পণ করার জন্য প্রচেষ্টা চালাবে এবং নির্বাচিত ব্যক্তি হবে অত্র এলাকার একজন নিষ্ঠাবান , সৎ , পরিশ্রমী, দায়িত্ববান নাগরিক যিনি সমস্ত মানুষের ঐকান্তিক ইচ্ছা অনুযায়ী প্রতিনিধিত্ব লাভ করবেন।
জনস্বার্থে প্রচারিত
কিন্তু প্রচলিত ভোটিং ব্যবস্থায় কোন ভোট প্রার্থী নিজের অবস্থানটা ভোটারদের হাতে অর্পণ করেন না! আর সেই জন্যই কোমর বেঁধে লড়াইয়ের ময়দানে ঝাঁপ দিতে হয়! এই জন্যই জ্ঞানভান্ডার চরমভাবে বিকাশলাভ করার পরেও গণতন্ত্রের বাস্তব প্রতিফলন সমাজ জীবনে প্রস্ফুটিত হয় না। মানুষ আবারো রাজনৈতিক ময়দানকে উত্তাল করার জন্য নতুন শব্দের আবিষ্কার করেছে —
“খেলা হবে ” ! আমরা তো জানি খেলা মানে মানুষের মনের বিকাশ শারীরিক দক্ষতা ও সামাজিক মেলবন্ধন কিন্তু এই ” খেলা হবে ” কথার মাধ্যমে মানুষকে উসকে দিয়ে পূর্বের মত
” মরণ-খেলায় ” মাতিয়ে দেওয়া হবেনা তো ? মানুষ সর্বোচ্চ মহা মূল্যবান জাতীয় সম্পদ।
মানুষকে নিয়ে যারা ছেলেখেলা করার ছলনায় ময়দানে ঝাঁপ দেওয়ার জন্য প্রলোভন দেখায় তারাও একদিন ময়দান শূন্য অবস্থায় বিদায় নেবে কিন্তু তার পরেও কি এই মরণখেলা চলতেই থাকবে? মানুষকে আবার নতুন করে মানুষ হওয়া দরকার !