ক্রমাগত জল বাড়ছে কংসাবতী নদীতে। নদী বাঁধে ফাটল দেখা দিয়েছে। প্রবল বৃষ্টি এবং মুকুটমণিপুর জলাধার থেকে জল ছাড়ার ফলে এই অবস্থা। এই ঘটনায় পাঁশকুড়ায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
কংসাবতী নদীর জল এক প্রকার বিপদসীমার উপর দিয়েই বইছে । তাই জলের চাপে ইতিমধ্যেই নদীর বেশ কয়েকটি বাঁধে এখন ফাটল দেখা দিয়েছে । এই ঘটনায় তৎপর হয়েছে প্রশাসন, তবে নদী তীরবর্তী অঞ্চলের বাসিন্দাদের দুঃশ্চিন্তা বাড়ছে।
পাঁশকুড়া পুরসভার ১৮ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় নদী বাঁধে বড় ফাটল ধরা পড়ায় চিন্তা আরও বেড়েছে।
তাই ইতিমধ্যেই সেচ দপ্তরের উদ্যোগে এইসব ভাঙা নদী পাড় মেরামতের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। পঞ্চায়েত এলাকা গোবিন্দনগর, মাইসোরা, হাউর, রাধাবল্লভপুরের মতো গ্রামীণ অঞ্চলেও নদীর বাড়তি জল চিন্তা বাড়িয়েছে। পাঁশকুড়া টাউন সহ বিস্তীর্ণ এলাকা ইতিমধ্যে প্লাবিত হয়েছে।
পাঁশকুড়া এলাকা পুরোটাই সবজি চাষের উপর নির্ভর। তাই এই জল বাড়ার কারণে সমস্ত সবজি চাষই জলের তলায়। ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন স্থানীয় কৃষকরা। রাতভর নদীপাড়ে টহল দিয়েছেন তমলুকের সেচ দপ্তরের আধিকারিক অভিরূপ মজুমদার, সেচ দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ার উদয়ন ভট্টাচার্য, পাঁশকুড়ার বিডিও ধেনধূপ ভুটিয়া, পাঁশকুড়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মনোরঞ্জন মালিক সহ বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকরা।