বিনা চিকিত্সায় মৃত্যু হয়েছে ছেলের। এই মর্মে গতবছর জুলাইয়ে বেলঘড়িয়া থানায় লিখিত অভিযোগ করেছিলেন মা শ্রাবণী। ছেলের চিকিত্সা করাতে গিয়ে তিনটি হাসপাতাল ঘুরেছিলেন মা-বাবা। বেলঘড়িয়ার বেসরকারি হাসপাতাল থেকে সাগর দত্ত, সেখান থেকে মেডিক্যাল কলেজ। শেষে মেডিক্যাল কলেজে শ্রাবণী আত্মহত্যার হুমকি দেওয়ার পর ভর্তি করা হয় শুভ্রজিতকে। তবে বাঁচানো যায়নি। তখন শ্রাবণী দাবি করেছিলেন, বেলঘড়িয়ার বেসরকারি হাসপাতাল থেকে বলা হয়েছিল, শুভ্রজিতের (Subhrajit Chatterjee) কোভিড হয়েছে। কিন্তু, স্বাস্থ্য দফতরের কাছে কোনও তথ্য ছিল না। পরিবারের অভিযোগ, চিকিত্সা করা হয়নি শুভ্রজিতের। কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হন মা।
ছেলের মৃত্যুর এক বছর পর হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানতে পারলেন মা। এই দীর্ঘসূত্রিতা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। সুবিচারের দাবি করছেন শ্রাবণী চট্টোপাধ্যায় (Sraboni Chatterjee)।
শুভ্রজিতের (Subhrajit Chatterjee) দেহের ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট । সেই রিপোর্টে জানা গেল, শুভ্রজিত (Subhrajit Chatterjee) কোভিড আক্রান্ত ছিলেন না। পরিবারের বক্তব্য, সেদিন তিনটি হাসপাতাল ঘুরতে না হলে বাঁচানো যেত ছেলেটাকে। এই রিপোর্ট আসার পর সুবিচার চেয়েছেন শ্রাবণী (Sraboni Chatterjee)।
আইনজীবী বিক্রম বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘হাইকোর্টের নির্দেশে দেহের ময়নাতদন্ত হয়েছিল। এতদিন পর জানতে পারলাম কোভিড নেগেটিভ।’ তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট নিয়ে একটা প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। রিপোর্টে উল্লেখিত তারিখ- ১৬ জুলাই, ২০২০। এতদিন পর কেন প্রকাশ করা হল? জানতে চাইছে পরিবার।