করোনা মহামারিতে নতুন করে চিন্তা বাড়িয়েছে জিকা ভাইরাস। কেরলে নতুন করে তিন জনের শরীরে এই নতুন ভাইরাসের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। এই নিয়ে জিকা ভাইরাসের আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ১৮ জন। এক শিশুও জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীনা জর্জ জানিয়েছেন, ‘২২ মাসের এক শিশু জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এরই সঙ্গে ৪৬ বছরের এক ব্যক্তি ও ২৯ বছরের এক স্বাস্থ্যকর্মীও ভাইরাসে আক্রান্ত। এখনও পর্যন্ত মোট ১৮ জনের শরীরে জিকা পাওয়া গিয়েছে।’
এর পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, জিকার সংক্রমণ রুখতে রাজ্য সরকার সবরকম ব্যবস্থা নিতে তৎপর। তিরুঅনন্তপূরম, ত্রিশূর ও কোঝিকোড়ে মেডিক্যাল কলেজ ও ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজিতে জিকা পরীক্ষার সেন্টার গড়ে উঠেছে।
করোনাভাইরাসের প্রথম সন্ধান মিলেছিল কেরলে, আর জিকা ভাইরাসেরও প্রথম সন্ধান মিলল কেরলে। গত ৯ জুলাই, ২৪ বছর বয়সী এক গর্ভবতীর দেহে ওই ভাইরাসের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। সে পারাস্সালা এলাকার বাসিন্দা। তাঁর চিকিৎসা চলছে তিরুবনন্তপুরমের একটি হাসপাতালে ।
এই জিকা ভাইরাস হল একটি মশাবাহিত রোগ।
এই রোগের বাহক হল এডিস মশা। এই মশা দিনের বেলায় কামড়ায়। এই রোগের উপসর্গ চিকুনগুনিয়া রোগের মত। তবে এই রৌগে ভয়াবহ শারিরীক কোনো ক্ষতি হয়না। তবে গর্ভবতী মহিলার ক্ষেত্রে এই রোগের প্রকোপ খুব ক্ষতিকারক। রক্তের মাধ্যমে ওযৌন ক্রিয়াকলাপের মাধ্যমে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে।
কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, জিকা ভাইরাসের পরীক্ষাকেন্দ্র বাড়ানোর কাজ চলছে। মোট ২৭টি ল্যাব থেকে জিকা ভাইরাসের পরীক্ষা চালানো হচ্ছে। হাসপাতালগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যেন তারা অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের দিকে নজর বিশেষ ভাবে নজর দেয়। এবং যাঁদের সামান্য জ্বর, র্যাশ, শরীরে ব্যথা দেখা দিচ্ছে, তাঁদেরই খুব তাড়াতাড়ি জিকার পরীক্ষা করানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।