উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফলের পর রাজ্যের বিভিন্ন অংশে দেখা গিয়েছে পড়ুয়াদের বিক্ষোভ । কম নম্বর দেওয়া, ফেল করিয়ে দেওয়া এই সমস্ত অভিযোগ উঠেছে স্কুলগুলির বিরুদ্ধে। সমস্যা সমাধানের জন্য ওই সব পড়ুয়াদের ফলাফলের রিভিউয়ের পর সবাইকে পাস করিয়ে দিল উচ্চ মাধ্যামিক শিক্ষা সংসদ।
উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ মহুয়া দাস সোমবার এক সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, মার্চ, জুন ও জুলাই মাসে পরীক্ষার সময়সূচি তৈরি করা হয়। কিন্তু কোভিড পরিস্থিতি বিচার করে ৭ জুন উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই সময় প্রশ্ন ওঠে, পরীক্ষার বিকল্প কী? অথবা কী পদ্ধতিতে মূল্যায়ন হবে।
তারপর এক বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়। তাদের মতামতের ভিত্তিতে মাধ্যমিকের ৪০ শতাংশ, আর একাদশের প্রাপ্ত নম্বর নিয়ে ফলাফল তৈরি হয়। এই বিষয়টি ১৮ জুন জানিয়ে দেওয়া হয়। ১৮-২৮ জুন পর্যন্ত সমস্ত স্কুলগুলিকে নম্বর জমা দেওয়ার কথা বলা হয়। তারপর ২৮ জুনের পর দেখা গেল, বহু রেজাল্ট অসম্পূর্ণ ও ত্রুটিপূর্ণ। তারপর ২ জুলাই ফলাফাল প্রকাশ করা হয়। তখন বলা হয়, স্কুলগুলি পড়ুয়াদের যে মার্কস পাঠিয়েছে তার ভিত্তিতেই এই ফলাফল প্রকাশ করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি বলা হয় স্কুলের পাঠানো নম্বর ও প্রাপ্ত নম্বরের মধ্যে যদি কোনও অসংগতি থাকে তাহলে রিভিউয়ের জন্য তারা আবেদন করতে পারে এবং সংসদ দ্রুত ব্যবস্থা নেবে। ২২ জুলাই থেকে ২৬ জুলাই পর্যন্ত রিভিউয়ের জন্য সময় দেওয়া হয়েছিল। তারপরে পরে তা বাড়িয়ে ৩০ জুলাই করা হয়। পাশাপাশি নম্বর সংক্রান্ত সমস্ত সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হয়।
মহুয়া দাস আরো বলেন, ১৪,২০০টি আবেদন পড়েছিল রিভিউয়ের জন্য। ফলাফল সংশোধন করে শেষমেষ এদের সবাইকে পাস করিয়ে দেওয়া হল। ফলে পাসের হার দাঁড়িয়েছে প্রায় একশো শতাংশ। কোভিড পরিস্থিতিতে সরকার সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করতে বলেছিল। আমাদের সরকার মানবিক। তাই কোভিড পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে সবাইকে পাস করিয়ে দেওয়া হল। শুধুমাত্র যারা এনরোল্ড হয়নি তারা বাদে সবাই পাস করল।