এক আদিবাসী শিশুকে ধর্ষনের অভিযোগ উঠল এক পড়শি যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার পূর্ব বর্ধমানের ভাতারে। এই ঘটনার কথা জানাজানি হতে অভিযুক্তের খোঁজ শুরু করেন লোকজন। তারপর অভিযুক্তকে দেখতে পেয়ে অভিযুক্তকে ভাতার থানার পুলিশের হাতে তুলে দেয়। অভিযুক্তকে ভাতার থানার পুলিশ গ্রেফতার করে, তদন্তে নেমেছে ভাতার থানার পুলিশ।
ওই শিশুর বাড়ি ভাতারের খেরুর গ্রামে। তার মা ও বাবা দুজনেই জনমজুরির কাজ করছন। তাঁদের আরও দুটো কন্যা সন্তান রয়েছে।
ওই শিশুর পরিবারের জানিয়েছে, রবিবার রাতে মেয়েদের ঘুম পাড়িয়ে দিয়ে মা গিয়েছিলেন এলাকার এক গৃহস্থের বাড়ি মজুরির টাকা আনতে। বাবা ঘরে ঘুমিয়েছিলেন। তখনই ঘুমন্ত অবস্থায় ওই শিশুটিকে মুখে কাপড় বেঁধে নিয়ে যায়, এলাকার এক যুবক। যুবকের নাম তীর্থ বাগ ওরফে লাদেন। এরপর শিশুটিকে খালপাড়ে নিয়ে গিয়ে ধর্ষন করেন লাদেন।
শিশুটির মা টাকা নিয়ে বাড়ি ফিরে এসে দেখে মেয়ে নেই। তারপর খোঁজাখুঁজি করতে করতে দেখে রাত ১ টার সময় মেয়ে গায়ে কাদামেখে এবং অসুস্থ অবস্থায় বাড়ি ফিরছে। তারপর সে জানায় খালপাড়ে একটি পাম্পের কাছে তাকে নিয়ে গিয়ে লাদেন ধর্ষন করে।
এরপরেই তীর্থর খোঁজ শুরু করেন স্থানীয় লোকেরা। সোমবার ২২ বছরের তীর্থকে পেয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। এই ঘটনার পর ভাতার থানায় যায় আদিবাসী সংগঠনের কর্মকর্তারা। সেখানে গিয়ে অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানায় তারা।