ফের সাংস্কৃতিক জগতে দুঃসংবাদ। আবৃত্তি জগতে নক্ষত্রপতন। বৃহস্পতিবার সকালে ইহলোক ছেড়ে অমৃতলোকে পাড়ি দিলেন গৌরী ঘোষ (Gouri Ghosh)। বিখ্যাত বাচিক শিল্পীর প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)।
গৌরী ঘোষের বয়স হয়েছিল তিরাশি বছর। পরিবার সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন ধরে স্নায়ুর সমস্যায় ভুগছিলেন গৌরীদেবী। দিনকয়েক আগে শারীরিক অসুস্থতা গুরুতর আকার নেয়। তাঁকে বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয়। সেখানেই চিকিত্সা চলছিল। সাতদিন ধরে ভেন্টিলেশনে ছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা ৫৫ মিনিট নাগাদ সব শেষ। জীবনযুদ্ধে হার মানেন তিনি। সকলকে কাঁদিয়ে পরলোকে পাড়ি দেন গৌরী ঘোষ। পার্থ ঘোষ ও গৌরী ঘোষ আবৃত্তি জগতের অন্যতম জুটি। বাস্তব জীবনে স্বামী-স্ত্রী তাঁরা। রেডিওর উপস্থাপক হিসাবেই কাজ শুরু করেন। আকাশবাণীতে বহুদিন ধরে কাজ করেছেন। উপস্থাপনা করেছেন একাধিক অনুষ্ঠানের। আবৃত্তির বহু সিডি রয়েছে তাঁর।
তাঁর প্রয়াণে শোকস্তব্ধ পরিবার-পরিজনেরা। স্বভাবতই চোখের জল বাঁধ মানছে না ছেলের। মায়ের মৃত্যুতে শোকার্ত ছেলে অয়ন ঘোষ বলেন, ‘আমার নিঃশ্বাস চলে গেল’। বিখ্যাত বাচিক শিল্পী ব্রততী বন্দ্যোপাধ্যায়ও গৌরীদেবীর মৃত্যু মানতে পারছেন না। স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে সাম্প্রতিক কালের ফোনালাপের কথাই বারবার মনে পড়ছে ব্রততীর। তিনি জানান, ‘করোনাকালে বহুবার গৌরী ঘোষের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে। বারবার মাস্ক পরার বিষয়ে সাবধান করতেন। বলতেন স্যানিটাইজার ব্যবহারের কথাও।’ আচমকাই যে গৌরী ঘোষ চলে যাবেন, তা যেন কল্পনা করা যায় না বলেই প্রতিক্রিয়া আবৃত্তি শিল্পীর।
দমদমের এস পি মুখার্জি রোডের কাছে পুত্রসন্তানকে নিয়ে থাকতেন তিনি। কখন গৌরী ঘোষের শেষকৃত্য হবে, সে বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি।