আবারো একবার মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবী করলেন মেধাতালিকাভুক্ত নবম-দ্বাদশ স্তরের বঞ্চিত শিক্ষকরা।
তাদের বক্তব্য যে” মাননীয়া কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের আন্দোলনকে সমর্থন করছেন;তাহলে কেন নিজের প্রতিশ্রুতি পালন করে মেধাতালিকাভুক্ত বঞ্চিত প্রার্থীদের চাকরী সুনিশ্চিত করছেননা?” মাননীয়া তাদের ন্যায্য দাবী না মানা অব্ধি নির্জলা উপবাস এমনকি স্বেচ্ছামৃত্যু এর পথও তারা বেছে নেওয়ার সংকল্প নিয়েছে।
২০১৬ সালে পশ্চিমবঙ্গ স্কুল সার্ভিস কমিশন দ্বারা নবম-দ্বাদশ শিক্ষক নিয়োগের যে পরীক্ষা হয়, সেখানে কমিশন স্বচ্ছ মেধাতালিকা না প্রকাশ, নাম্বার না প্রকাশ, ১:১.৪ অনুপাতে ডাকার গেজেট লঙ্ঘন করে মেধাতালিকায় অপেক্ষাকৃত পিছনের সারি তে থাকা প্রার্থীদের নিয়োগ করায় প্রথম ধাপে ডাক পাওয়া বঞ্চিত প্রার্থীরা দুর্নীতির প্রতিবাদে ২০১৯ সালে প্রেস ক্লাবের সামনে যে দীর্ঘ ২৯ দিনের অনশন করে সেখানে এসে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দেন “মেধাতালিকাভুক্ত সকলের চাকরি হবে”।
কিন্তু দীর্ঘ ২ বছর কেটে যাওয়ার পর ও মাননীয়ার সে প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত হয়নি, বরং লকডাউন কালীন SMS এর মাধ্যমে অবৈধ নিয়োগ, টাকার বিনিময়ে অকৃতকার্য দের নিয়োগ ব্যাপক হারে হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী সমস্যার সমাধান এর জন্য যে পাঁচজন কে কমিশন এর সাথে বৈঠক করতে বলেন তাদের একাংশ কমিশন এর সাথে সমঝোতা করে অপেক্ষাকৃত পিছনের সারিতে থেকেও চাকরি সুনিশ্চিত করেছে।
বঞ্চিত প্রার্থীরা প্রতিবাদ স্বরূপ মহামান্য হাইকোর্ট এর পারমিশন নিয়ে ফের সল্টলেক সেন্ট্রাল পার্ক গেট নং ৫ এর কাছে দীর্ঘ ১৪৫ দিন রিলে অনশন ও অবস্থান বিক্ষোভ করছে। আন্দোলনকারী
বনশ্রী হালদার;চন্দন প্রধান,সুদীপ মন্ডল;ইলিয়াস বিশ্বাস;জয়দেব পাল;প্রণব মন্ডল; পার্থ প্রতিম মন্ডলের কথায় মুখ্যমন্ত্রীর স্বচ্ছ ভাবমূর্তি কে সামনে রেখে কমিশন যেভাবে যোগ্য প্রার্থীদের বঞ্চিত করে সুকৌশলে অকৃতকার্য দের নিয়োগ করছে তা নজির বিহীন। তাদের বক্তব্য” ন্যায়বিচারের ভার আমরা এ রাজ্যের সুপ্রিমোর হাতেই তুলে দিলাম। মাননীয়া বলেন প্রতিশ্রুতি দিলে সেটা রাখেন। উনি নিজেও ভোটের আগে বলেছেন শিক্ষক নিয়োগে চরম দুর্নীতি হয়েছে। তাই মাননীয়া অতি দ্রুত তার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে মেধাতালিকাভুক্ত সকলের ন্যায্য চাকরি সুনিশ্চিত করুক। ”
অনশন মঞ্চেই রোজা রেখে কেটেছে
সামসুর জামান;জাহিরুল হাসান;কবির;আবু নাসের;মতিউর রহমান;সাজিদুল;আরব গাজীদের পবিত্র রমজান মাস।পাশাপাশি ইয়াস;মহামারী করোনাকে উপেক্ষা করে মঞ্চে প্রথমা মিত্র;তৃণা হালদার;সাধন বিশ্বাস ;গোপাল হালদার;মিলন মাল; অভিষেক সেন;বিশ্বনাথ কুন্ডু;সাদিয়া;সাহাজুদ্দিন মোল্লাদের মতো শতাধিক প্রার্থীর বিনিদ্র রাত কাটছে ন্যায়বিচার পাওয়ার আশায়। সোনার বাংলা গড়ার কারিগর রাজ্য সুপ্রিমো এই শ্রমজীবী ;কৃষক পরিবার থেকে উঠে আসা মেহেনতি মজদুর সমাজের প্রতিনিধিদের যোগ্য মেধার প্রতি ন্যায় বিচার করেন কিনা সেদিকেই তাকিয়ে বাংলার মানুষ।